বাংলাদেশের ঐতিয্যবাহী একটি ফেরি ঘাট হলো মাওয়া। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম ফেরিঘাট।দেশের দক্ষিন অঞ্চলের সাথে যোগাযোগের বড় মাধ্যম ছিলো
এটি।অনেক ধরনের ফেরি এখানে চলাচল করতো।বর্তমান পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এর চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।তবে ঐতিহ্য আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে এখানে ভীড় হয় প্রতিদিন হাজারো পর্যটকদের।এখানে রয়েছে অনেক খাবার হোটেল যেগুলোতে টাটকা ভাজা ইলিশ পাওয়া যায় যা পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।ঢাকা থেকে কাছাকাছি এলাকা হওয়ার খুব দ্রুত ঢাকা থেকে আসা -যাওয়া যায়। ভ্রমন পিপাসু মানুষের তাই ব্যস্ত ঢাকা শহর থেকে একটু শান্তির খোজে এখানে চলে আসেন। এছাড়াও ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের অনেক ভীর হয়।
মাওয়া ফেরিঘাটের উপভোগের বিষয়:
১।পদ্মা পাড়ের শান্ত পরিবেশ আর রুপালী জলের
ঝিকিমিকি আপনাকে অনেক শান্তি দিবে।
২। নৌকায় করে ঘুরে দেখতে পারবেন পদ্মার অনাবিল সৌন্দর্য।
৩। শেষ বিকেলের সুর্যাস্ত দেখতে পাবেন।
৪।গরম ভাতের সাথে ভাজা ইলিশ, পোড়া মরিচ ও বেগুন ভাজা
এর স্বাদ।
৫।লঞ্চ বা স্পিড বোটে
করে পদ্মার ওপার ঘুরে দেখতে পারবেন।ভাড়া ২৫০ টাকার মত নিবে।
৬। ইলিশ রেস্টুরেন্টে খেতে পারবেন বাহারি খাবার।
৭। এখানে অনেক রিসোর্ট রয়েছে চাইলে থেকেও উপভোগ করতে পারবেন।
কিভাবে যাবেন মাওয়া ঘাট:
ঢাকা থেকে যাওয়ার জন্য আপনাকে গুলিস্থান বা যাত্রবাড়ী থেকে বাসে উঠতে হবে।অনেক গুলো বাস মাওয়া যায়।এর মধ্যে ইলিশ বা বি/আর.টিসি অন্যতম।ভাড়া নিবে ৭০-৮০ টাকার
মতে। এছাড়াও দেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকেও খুব সহজে আসা যায় এখানে।
খাবারের স্থানসমূহঃ
মাওয়া অনেকগুলো হোটেল রয়েছে। আপনি চাইলে অর্ডার করেও ইলিশ ভাজা খেতে পারবেন সাথে গরম ভাত। এখানকার ইলিশ ভাজা অনেক মজাদার।দাম সর্বসাকুল্যে ৮০-১০০ টাকা হতে পারে।এছাড়াও এখানে নতুন ‘প্রজেক্ট হিলসা’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট হয়েছে। আপনি আপনার
ইচ্ছামতো খেতে পারবেন। আর রিসোর্টে থাকলেও খাবারসহ অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
মাওয়া এমন একটি স্থান যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি আপনি পাবেন মানসিক শান্তি।তাই চাইলে পরিবার নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।